অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছেন, ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে’ গুঁড়িয়ে দিতে তার দেশ অঙ্গীকারবদ্ধ। সোমবার রাজধানী আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।
এরদোয়ান বলেন, যতক্ষণ না তার শেষ সন্ত্রাসীটিকে নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে তখন পর্যন্ত পিকেকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করার ব্যাপারে আঙ্কারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, সীমান্তে বেসামরিক এলাকায় মর্টার হামলা চালিয়ে তারা (পিকেকে) নিরপরাধ মানুষের রক্ত ঝরিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তাদের নোংরা চেহারা ফুটে উঠেছে। তবে তুরস্কের অভিযানে এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে।
গত সপ্তাহে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সিরিয়ার ওয়াইপিজি/পিকেকে গোষ্ঠীকে দায়ী করে আসছে আঙ্কারা। এরদোয়ান বলেন, গাজিয়েন্টেপ জেলায় চালানো হামলায় তার ৫ বছরের একটি শিশু এবং ২২ বছরের একজন শিক্ষককে হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মাতৃভূমি এবং জনগণের নিরাপত্তার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার সময় আমাদের কারও কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা কারও কাছে জবাবদিহি করবো না।’
এরদোয়ান বলেন, ফাঁকা হুমকি দিয়ে কেউ তুরস্ককে তার নিজের স্বার্থের বিরুদ্ধে কোনও অবস্থানে যেতে বাধ্য করতে পারবে না।
উল্লেখ্য, কুর্দি সশস্ত্র গোষ্ঠী পিকেকে তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃক একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত। আঙ্কারার দাবি, নারী ও শিশুসহ ৪০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে পিকেকে সন্ত্রাসীরা। তুরস্ক বলছে, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত হলেও গোষ্ঠীটিকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন।
Leave a Reply